কমনওয়েলথকে অনুন্নত দেশের দারিদ্র্যতা এবং জলবায়ুগত দূর্বলতা কমিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এশীয় অঞ্চলের কমনওয়েলথ প্রধানের সাথে ভার্চুয়াল এক বৈঠকে তিনি বলনে, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি উন্নত ভবিষ্যৎ এর জন্য স্থায়ী এবং প্রাকৃতি সমাধান নির্ণয়ে কমনওয়েলথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।'
আরও পড়ুন: ইসরায়েল সম্পর্কে বাংলাদেশের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কুইন দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে প্রিন্স অফ ওয়েলস চার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ এই গোলটেবিল বৈঠকের আহ্বান করেন।
শেখ হাসিনা কমনওয়েলথের সদস্য এবং সিভিএফের সভাপতি হিসেবে সিওপি২৬ এর জন্য তিনটি পদক্ষেপ প্রস্তাব করেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাপী বনায়ন বা বৃক্ষরোপণ এবং স্থায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রচার এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার জন্য বিনিয়োগের ব্যবস্থা।
অন্য দুটি পদক্ষেপ হলো- ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রেখে কার্বন নিঃসরণ মাত্রা কমিয়ে প্রাকৃতিক প্রযুক্তির ওপর জোড় দেওয়া এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর মাঝে জ্ঞান এবং প্রযুক্তির স্থানান্তর ও জলবায়ুগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্থিক সাহায্য পায় সে ব্যাপারে সাহায্য করা।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর অভিযোজন এবং জলবায়ুগত স্থিতিস্থাপক্তার জন্য আমাদের সম্পদ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর স্বার্থের উন্নতিকল্পে এবং আঞ্চলিকভাবে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে এবং নদী ভাঙন ও অন্যান্য ক্ষতিকর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যারা গৃহহীন হয়েছেন তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারেটি ইনেসিয়েটিভ’গ্রহণ করেছে।