জাতিসংঘের কাছে সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ভঙ্গুরতার মূল কারণ চিহ্নিত করে ওই সকল দেশে মৌলিক সেবা প্রদান, অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার বাস্তবায়নে দেশসমূহের সরকারি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘকে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ পুলিশ, জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম, বিভিন্ন সংস্থা ও জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে একটি সুসংগত ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন (ইউএনকপস ২০২২) উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাতিসংঘ পুলিশ এর অংশগ্রহণে টেকসই শান্তি ও উন্নয়ন’- শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮৯ সাল থেকে ‘জাতিসংঘ পুলিশ’ এর গর্বিত সদস্য হিসেবে, টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য এর যেকোনো উদ্যোগে অবদান রাখতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।’
নিরাপত্তা ও উন্নয়ন পরস্পর নির্ভরশীল এবং এটি পারস্পরিকভাবেই শক্তিশালী একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুবিধার্থে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সুসংগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা খাত সংস্কারে জাতিসংঘ পুলিশিং এর ভূমিকা এবং ম্যান্ডেট অনুযায়ী আইনের শাসন জোরদার ও বিশেষায়িত পুলিশ টিমের (এসপিটি) ওপর গুরুত্বরোপ করেন।