টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ শ্রদ্ধা ও গাম্ভীর্যের সঙ্গে সোমবার শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
ভাষা শহিদদের স্মরণে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ দূতাবাসের অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
পরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রদূত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করেন এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দিনটির তাৎপর্য নিয়ে একটি অনলাইন আলোচনার আয়োজন করে দূতাবাস।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাবিতে প্রভাত ফেরি অনুষ্ঠিত
ভাষা শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সদস্য, প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মঙ্গল ও দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন বীর ভাষা শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, রাষ্ট্রদূত মাতসুশিরো হোরিগুচি, সেক্রেড হার্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসাকি ওহাশি ও টোকিও ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কিয়োকো নিওয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বক্তারা এসময় বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষাকে সমুন্নত রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
দিবসটির ইতিহাস ও তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক দিক নিয়ে অনুষ্ঠানে একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র ‘বাংলা’ দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন