ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, গত বছর আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সফলতা পেয়েছি। সেই সফলতা ধরে রাখতে এ বছর আমাদেরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। সেজন্য আপনাদেরকে এ বছর আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে এবং ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ হতে মুক্তি দিতে তদারকি বাড়াতে হবে। তাই, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করুন।’
রবিবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে নিয়মিত সাপ্তাহিক মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভায় ডিএসসিসি মেয়র সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন।
মেয়র তাপস এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত প্রাক-বর্ষার (প্রি-মনসুন) জরিপ অনুসরণপূর্বক যেসকল ওয়ার্ড ও এলাকায় মশার ঘনত্ব বেশি রয়েছে, সেসব এলাকাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও ডিএসসিসি মেয়র ব্যক্তিগত স্থাপনা হতে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণাধীন ভবনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জোরদারের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইজ অব ডুয়িং বিজনেস র্যাংকিংয়ে অচিরেই ডাবল-ডিজিটে নেমে আসবে বাংলাদেশ: তাপস
ঢাকাবাসীকে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন। কারণ এই মশার প্রজননস্থল আমাদের সকলের নিজ আবাসস্থল ও বসতবাড়ির চারপাশ। তাই নিজেদের আবাসস্থলের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনা ও চারপাশ পরিষ্কার রাখা জরুরি। একই সাথে কোন পাত্রে দীর্ঘদিন ধরে যাতে পানি জমে না থাকে, সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে।’
অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘১ এপ্রিল থেকে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করবেন। পাশাপাশি আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারাও এ বছর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাত ৮টার মধ্যে ডিএসসিসির আওতাধীন দোকান বন্ধে তাপসের আহ্বান