তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে আমাদের এদেশ ধর্ষণ মুক্ত হবে। আমি চাই না কোনো একজন নারী বা শিশু ধর্ষণের শিকার হোক। সমাজ থেকে ধর্ষণ নির্মূল করতে পরিবার, সমাজ, বিভিন্ন মিডিয়া ও কমিউনিটির দায়িত্ব রয়েছে।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, যুগ্মসচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদিত হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) অধ্যাদেশটি জারি হবে এবং আগামী নভম্বরের সংসদে অধ্যাদেশটি আইন আকারে পাস হবে। সমাজের সকলের সহযোগিতায় দেশ থেকে ধর্ষণ প্রতিহত করা সম্ভব হবে। যার ফলে ধর্ষণ ও নির্যাতন বন্ধ হবে।’
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড মন্ত্রিপরিষদ সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের এই আইনের সংশোধনীর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।’ এসময় আইনমন্ত্রীকেও সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়া যারা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবিতে রাজপথে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে জোরালো বক্তব্য ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা।
নতুন এই সংশোধনী বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে নতুন যে সংশোধনী আনা হয়েছে সেটা কাজ করবে। বিচারের যে দীর্ঘ প্রক্রিয়া সেটাও কমে আসবে বলে আশা করছি।’
রাজনৈতিক ক্ষমতার সাথে ধর্ষণের সম্পর্ক বেশি সে পরিস্থিতিতে আইন করে কিভাবে দেশে ধর্ষণ কমবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, শুধুমাত্র আইন ও সরকার দিয়ে সব কিছু কিন্তু করা সম্ভব নয়। সরকারের সাথে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি তাহলে অবশ্যই হবে। ধর্ষক ধর্ষকই তার পরিচয় ধর্ষক। তার অন্যকোনো পরিচয় থাকতে পারে না। এখানে পরিবারেরও দায়িত্ব অনেক রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আইনের সঠিক প্রয়োগ, ইতিবাচক মনমানসিকতা ও সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে সমাজ ধর্ষণ মুক্ত হবে। যারা এ অপরাধের সাথে জড়িত হবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বাংলার মানুষ অচিরেই স্বচক্ষে দেখতে পাবে।