নওগাঁর পোরশার ইলাম গ্রামের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পলাতক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশলী মকবুল হোসেন জানান, ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থী নানীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।
চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ সোমবার বেলা ১২টায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকার সাজা পরোয়ানাসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার নারীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
অপর আরেকটি ঘটনায় জেলার পত্নীতলার কাশিপুর এলাকার এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই গ্রামের কাজল মালীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুপুর ১২টায় এক আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত বিশেষ কৌশলী মকবুল হোসেন জানান, পত্নীতলার কাশিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নারী ২০২০ সালের ২৭ মার্চ ধর্ষণের শিকার হন।
এই অভিযোগে প্রতিবন্ধী নারীর স্বামী ২০২০ সালের ১ এপ্রিল পত্নীতলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। আদালতে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
২০২২ সালে ৮ জুন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩ আগস্ট শেষ হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
আসামি পক্ষে আইনজীবী সোমেন্দ্রনাথ কুন্ডু মামলা পরিচালনা করেন। জরিমানার অর্থ ধর্ষণের শিকার নারীকে প্রদানের নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড