নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ আলাউদ্দিন (৩৫) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্য কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আলাউদ্দিন। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, ওই দুর্ঘটনায় বর্তমানে জরিনা বেগম শরীরের ২০ শতাংশ, সাথীয়া আক্তার ১২ শতাংশ এবং সাইমা শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে রান্নাঘরে লাইনের গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে ভোর ৪টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার রবিবার বলেছিলেন, ‘আমার ভাইয়ের বাসায় লাইনের গ্যাসের মাধ্যমে রান্নার কাজ চলত। গত রাতে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে যায়। পরে তা থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে আমার দুই ভাতিজিসহ ভাইয়ের পরিবারের চার সদস্য আহত হয়।’
ওই ঘটনায় আলাউদ্দিনের শরীরেরই সর্বাধিক ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শুধু তাকেই নিবিড় পরিচর্যা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন ডা. শাওন বিন রহমান। তবে তিন দিনের চিকিৎসাও পরও তাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হলো না।