পঞ্চগড় শহরে একটি কাদিয়ানী সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে মুসলিম ভক্তদের একাংশের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।
শুক্রবার পঞ্চগড় পৌর এলাকায় জুম’আ এর নামাজ শেষে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাথর নিক্ষেপকারী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ একশ’রও বেশি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জ শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
সহিংসতার খবর সংগ্রহ করার সময় কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।
জুমার নামাজ শেষে পঞ্চগড় পৌর এলাকার কয়েকটি মসজিদ থেকে মুসল্লিরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এরপর তারা পঞ্চগড় শহরে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তারা আহমদ নগর এলাকায় কাদিয়ানী জলসার দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হয়।
পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নগরীর সিনেমা হল রোড এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
বিক্ষোভ মিছিলের জেরে একপর্যায়ে পিছু হটতে হয় পুলিশকে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
সহিংসতার ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় পঞ্চগড় শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
বিক্ষুব্ধ জনতা আহমেদনগরে অবস্থিত কাদিয়ানিদের প্রায় ২০টি বাড়িও লুট করে।
বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ ভক্তরা অবস্থান নেয়ায় গণমাধ্যমকর্মীরাও কোথাও যেতে পারছেন না।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি ও র্যাব যোগ দেয়। বিকাল ৫টা ৩৯ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে।
পঞ্চগড় থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, জলসা নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
বাংলাদেশের কিছু ইসলামী গোষ্ঠী আহমদিয়া নামে পরিচিত কাদিয়ানিদের অমুসলিম হিসাবে বিবেচনা করে এবং এই সম্প্রদায়ের কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা চায়।
আরও পড়ুন: ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১
চবিতে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে ৮ কক্ষ ভাঙচুর, আহত ৩