মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিন আবেদনের শুনানি ২১ দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে দুই দিনের মধ্যে তার জামিন আবেদনের শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওই দিন শুনানির দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) পরীমণির জামিন আবেদনের শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর ধার্যের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরীমণির পক্ষে করা এক রিভিশন আবেদন শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
আদালত বলেছেন, ‘২১ দিন পরে তারিখ দেয়ার কী আছে? অভিযুক্তের (পরীমণি) জামিন আবেদন শুনানির অধিকার আছে। কিন্তু মহানগর দায়রা জজ জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন, যা আবেদনকারীর অধিকার ও স্বাধীনতাকে খর্ব করে।’
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন আবেদন, শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর
গত ২২ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ এই মামলায় পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমণি। এতে বিলম্বে জামিন আবেদন শুনানির দিন রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরীমণির অন্তর্বর্তীকালীন জামিনও চাওয়া হয়। এই আবেদনের ওপর আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর শুনানি হয়।
আদালতে পরীমণির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। এছাড়া পরীমণির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
এর আগে গত ২১ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে পরীমণিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে তাকে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। এরপর একাধিকবার তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।