ভারতের সাথে পানিসম্পদ বিষয়ক সচিব পর্যায়ের বৈঠকের বিস্তারিত নিয়ে বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এ কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের আগস্টে বাংলাদেশ-ভারতের পানিসম্পদ বিষয়ক সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। গত বছর ভারতীয় সচিবকে নিমন্ত্রণ জানালেও মহামারি করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। বৈঠকটি মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন কবির বিন আনোয়ার।
আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা নেই: তথ্যমন্ত্রী
তিস্তা চুক্তি, কোভিড টিকা সরবরাহ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতি পুনরাবৃত্তি
দিল্লি থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের নির্বাচনের পর তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নসহ একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
‘এছাড়াও সেচের জন্য কুশিয়ারা নদী থেকে রহিমপুরের পাম্প হাউজে পানির বিষয়টি অগ্রগতি হয়েছে। মহানন্দা নদীর পানি কমে যাওয়ায় যৌথভাবে সার্ভে করার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। খুব পজিটিভ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অতিথি হিসেবে আসবেন। তাছাড়া তাদের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে সামনে নির্বাচন। তাই এই মুহূর্তে ও এমন আবহে চুক্তি নিয়ে কিছু হবে বলে মনে করছি না।’
নদীকে বাঁচাতে দুই দেশ একমত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ নিশ্চিত রাখতে হবে, তারপর পানি বণ্টন। দুই দেশের বোঝাপড়ার ঘাটতি ঘোচাতে সার্ভে, পরিদর্শন, তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজগুলো যৌথভাবে হবে। অভিন্ন ৬টি নদীর তথ্যবিনিময় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। শিগগিরই তা ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট হবে। পর্যায়ক্রমে অভিন্ন ৫৪ নদী নিয়ে আলোচনা হবে।’
আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোনো ‘ম্যাজিক’ থাকবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী