করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পাঁচ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সী প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের টিকা কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছি।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা সংক্রান্ত এক জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। তাদের অনুমোদন পাওয়া মাত্রই আমরা কার্যক্রম শুরু করে দিব। আমরা ১২ বছরের উর্ধ্বে যারা আছে, সেসব শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েছি। এবার আমরা ১২ বছরের নিচে এবং পাঁচ বছরের উর্ধ্বে শিক্ষার্থীদের টিকা দিব। এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তারা জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের তালিকা হচ্ছে। আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রাখছি।
এসময় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের টিকাদানের সম্ভাব্য সময় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এটা নির্ভর করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত। সেটি নিয়ে এখনি আমরা কিছু বলতে পারছি না।
এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সর্বনিম্ন পাঁচ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে বয়স ভিত্তিক ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এবং টিকা কেন্দ্রের তথ্য প্রেরণে বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গণটিকায় প্রথম ডোজ নেয়াদের দ্বিতীয় ডোজ ২৮ মার্চ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতেই দেশব্যাপী 'একদিনে এক কোটি কোভিড-১৯ টিকাদান' কার্যক্রমে প্রথম ডোজ নেয়াদের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হচ্ছে আগামী ২৮ মার্চ থেকে। তিনদিন ব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, আগামী ২৮ মার্চ থেকে প্রথম ডোজ নেয়াদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তারা যে কোন কেন্দ্রে এসেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারবেন। এই কার্যক্রমে দুই কোটি ২৫ লাখ টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ থেকে ধরে ৯ দিনে তিন কোটির বেশি টিকা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত ২২ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা টিকা ক্রয় এবং দেয়ার পেছনে খরচ হয়েছে। কিছু টিকা আমাদের বাড়তি আছে। এসব টিকা বিভিন্ন দেশকে উপহার হিসেবে দিয়ে দিব।