রাজধানীর নর্থ রোডের বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দেয়ায় বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ওই কারা কর্মকর্তারা জামিন প্রদানকারী বিচারক ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন কোন যুক্তিতে তাকে জামিন দিয়েছেন সে ব্যাপারে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে পার্থ গোপাল বণিকের অস্বাভাবিক ভাবে জামিন দেয়ার বিষয় নিয়ে চ্যানেল ২৪ এ প্রচারিত প্রতিবেদনের ভিডিও ক্লিপ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামলা থেকে অব্যাহতি চান বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল
পাশাপাশি বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিকের জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট । আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন। এর আগে ৮০ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিককে অস্বাভাবিক ভাবে জামিন দেয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। এছাড়া রবিবার তার জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করে দুদক।
আরও পড়ুন: বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
গত ১৯ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিক জামিন পান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে জামিন আদেশ নিয়ে তার পরদিনই তিনি জেল থেকে বের হন। অনেকটা গোপনে এবং তড়িঘড়ি করে এই জামিন ও তিনি কারামুক্ত হন।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে। ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা তার বাসায় রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে এদিন বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: ঘুষ গ্রহণের মামলায় ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপাল কারাগারে
পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় গত বছরের ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় হাইকোর্টে একাধিকার জামিন আবেদন করে জামিন না পেলেও অনেকটা গোপনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
২০১৯ সালের ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ পার্থ গোপালকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।