দেশের বাইরে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই এর মধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা বাইরে আছেন তাদের মধ্যে দু’একজনকে শিগগিরই দেশে আনা হবে।’
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিটের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষির্কী উপলক্ষে ৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল, কারণ তারা ভালো করেই জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যাদের ধমনীতে প্রবাহিত, তাদের কেউ বেঁচে থাকলে খুনিদের বিচার একদিন হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ডাকে সাড়া দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের সেই ত্যাগের প্রতিদান দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধের সরকারি ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় প্রমাণ করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনা মোকাবিলা করছেন। ২১ আগস্টের বোমা হামলা আপনারা দেখেছেন, সেই দিনের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মহান রব্বুল আলামিন বাঁচিয়েছেন, বাঁচার কোনো উপায় ছিল না। বঙ্গবন্ধু যেটা করে যেতে পারেননি, সেটা মহান রব্বুল আলামিন বঙ্গবন্ধুর কন্যার মাধ্যমে করিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহাগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
পড়ুন: বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীন আক্তার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার রাশেদুল হকসহ মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য দেন।
এর আগে দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সমুদ্র মহড়া পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বলেন, কোস্টগার্ড মানব ও মাদক পাচার রোধেও সফল ভূমিকা রাখছে। যার জন্য আমরা মনে করি কোস্টগার্ড দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আমাদের এত বড় বন্দর সেখানে সেই সময় জাহাজ আসতে নানান ধরনের প্রশ্ন তুলতো। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই।
মহড়ায় কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহের স্টিম পোস্ট, ভিবিএসএস এক্সারসাইজ, ২০ মিটার রেসকিউ বোট, মেটাল শার্ক এবং জাহাজ কামরুজ্জামান দ্বারা পলিউশন কন্ট্রোল এক্সারসাইজ, ডিসপারসেন্ট ডেলিভারি ও ওয়াটার গান অপারেশন প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী