এলডিসি থেকে উত্তরণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।
এতে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে।
এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এডিবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেন গত ৯ মে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাক্ষাতের সময় এই প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি কোভিড-১৯ মহামারি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং সবুজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য তিরি এডিবি’র প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে চেন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘সরকারের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের প্রতি এডিবি’র সমর্থন প্রতিযোগিতামূলক খাত, কর্মসংস্থান ও বেসরকারি খাতের উন্নয়নে ফোকাস করবে। এছাড়া সবুজ বৃদ্ধি ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা প্রসার করবে এবং মানব পুঁজি ও সামাজিক সুরক্ষা শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুন: বিকিরণ প্রযুক্তির বিনিময় সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ভারত
চেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গেও দেখা করেন এবং রেলওয়ের অপারেশনাল দক্ষতার উন্নতি, দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ঢাকা-কুমিল্লা কর্ড লাইন প্রকল্পসহ সম্ভাব্য ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলোর জন্য উচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী এবং এডিবি গভর্নর এ এইচ এম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে চেন অর্থনীতির সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা এবং মহামারি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে শক্তিশালী করার জন্য (সরকারের) দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।
চেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, রেলওয়ে উন্নয়ন এবং সুনীল মহাসাগরভিত্তিক অর্থনীতি বাস্তবায়নের জন্য এডিবি’র অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।
৮ মে থেকে বাংলাদেশে তার ছয় দিনের সফরের সময় চেন অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন।
এছাড়াও তিনি এডিবি’র সহায়তায় পরিচালিত দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এসএএসইসি) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্প, দ্বিতীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প, পাওয়ার সিস্টেম ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট এবং পাওয়ার সিস্টেম এক্সপেনশন অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম পরিদর্শন করেন এবং প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ. কোরিয়ার ‘আরও উদ্যোগ’ চায় বাংলাদেশ