বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন এবং মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে...বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে কম দামে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এটি পাবে। শুধু তাই নয়, আমাদের এক বা একাধিক ওষুধ সংস্থাগুলোও ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।’
কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা কোভিড ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে আমরা শুরু থেকেই তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউইচও) স্বীকৃতি ছাড়া কোনো ভ্যাকসিনের অনুমতি দেবে না।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করার লক্ষে সরকার একটি প্রকল্পের আওতায় ৬০০ কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছে।
‘সুতরাং, ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য অর্থের অভাব হবে না। যেখানে পাওয়া যায় সেখান থেকেই বাংলাদেশ এটি সংগ্রহ করবে,’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এ সময় মন্ত্রিসভাকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে অবহিত করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
গত ৪ জুন যুক্তরাজ্যে আয়োজিত গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিট ২০২০ উপলক্ষে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নতুন ভ্যাকসিনের মাধ্যমে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন জোটের (গ্যাভি) সহায়তা চান উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটি (প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব) গৃহীত হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশও গ্যাভির অধীনে ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য যোগ্য দেশ হিসেবে স্বীকৃত।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অনেকে দাবি করেছে যে বাংলাদেশ বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছে, যা সত্য নয়।
‘আমি মনে করি বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগামী এপ্রিলের আগে কার্যকর ভ্যাকসিন প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনাও কম,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত ৪৬টি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়েছে এবং ৯১টি প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে।
‘আমরা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এ ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করছি এবং যখন এটি সহজলভ্য হবে তখন এর বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য আমাদের ফার্মাসিউটিকাল সংস্থাগুলোও তাদের সাথে (সম্ভাব্য ভ্যাকসিন উৎপাদক) আলোচনায় রয়েছেন,’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।