রাজধানীর মতিঝিল, কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায় শনিবার (২৮ অক্টোবর) পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত এবং কমপক্ষে ৪১ পুলিশ আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আহত এক পুলিশ সদস্য ঢামেক হাসপাতালে মারা যান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, আহত ২২ পুলিশ সদস্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে এবং ১৯ জন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফারুক হোসেন জানান, মতিঝিল, কাকরাইল ও নয়াপল্টন এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় তারা আহত হয়েছেন।
এর আগে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেছিলেন যে শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার কাকরাইলের জাজেস রেসিডেন্স কমপ্লেক্সের সামনে বিএনপির কয়েকজন কর্মী পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে হরতালের ডাক দিল বিএনপি
তিনি কাকরাইল চার্চের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। এ ছাড়াও, তারা কাকরাইলের আইডিবি ভবনের সামনে হামলা, ভাঙচুর ও কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।’
বর্তমানে কাকরাইল চার্চ ক্রসিংয়ে বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে রয়েছে। আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, সহিংসতায় লিপ্ত হওয়া বিএনপি কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে ঢাকার কাকরাইল এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাকরাইল এলাকায় মিছিল বের করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে যেতে থাকে।
একপর্যায়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক দফা দাবিতে দল ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি