সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স নবনীতা দাসের (২৮)‘আত্মহত্যা’ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। নবনীতার স্বামীর দাবি তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন, অন্যদিকে তার বাবার দাবি তার মেয়েকে স্বামী সৌমেন দাশ (২৯) হত্যা করেছে।
নবনীতার বাবার করা আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় শনিবার নবনীতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নবনীতা সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সাউদেরশ্রী গ্রামের সুব্রত কুমার দাশের মেয়ে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর নবনীতার স্বামী সৌমেন দাশ পুলিশকে জানান, তিনি অনার্সে পড়ছেন, এখনও তার কোনও চাকরি হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই মনোমালিন্য হত। নবনীতা এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার আত্মহত্যার দিনই তিনি এ কথা জানতে পারেন।
তার স্বামী আরও জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তারা যে ভাড়া বাসায় থাকেন, তারই একটি ঘরে তিনি নবনীতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি নবনীতাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, নিহতের স্বামীর দাবি,নবনীতা আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে, নবনীতার বাবা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা দায়ের করেছেন। আমাদের তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে নার্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নবনীতার সহকর্মীরা জানান, নবনীতা আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাকে হত্যা করেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত চান তারা।
অন্যদিকে, সৌমেনের পরিবারের বলছে তাদের ছেলের বৌ অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। মিথ্যা মামলায় তার ছেলেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে থেকেই নবনীতা চাকরি সূত্রে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন নয়াগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রায় চার মাস আগে প্রেম করে একই গ্রামের সৌমেন দাশকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর সৌমেনের পরিবার তাদের মেনে নিলেও নবনীতার পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। বিয়ের পর থেকে তারা নয়াগ্রামেই থাকতেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ