বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, আইনের মাধ্যমে মাদকের ব্যবহার কিছুটা কমানো যেতে পারে তবে নির্মূল করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, মাদক প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারকে, যুব সমাজকে এই অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে হবে।
আরও পড়ুন: সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের যোগ্য সম্মান দিতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
এছাড়া রাষ্ট্রের উন্নয়নের অংশীদার হতে হলে সকল নাগরিককে মাদকবিরোধী দায়িত্ব নিতে হবে।
রবিবার (২৫ জুন) রাজধানীর শাহবাগে বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে আইইউবিএটির সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) আয়োজিত ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, জনগণই সরকার, মাদককে রুখতে জনগণকে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মাদককে পরাজিত করতেই হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাই একমাত্র রাজনীতিবীদ যিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং ২০৪১ সালের মাঝে ধূমপানমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সমাজে নানাবিধ অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে মাদক। বিবাহ বিচ্ছেদ, যৌতুক, নারীর প্রতিসহিংসতা, সড়ক দুর্ঘটনা, নৈতিক অবক্ষয় সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মাদক।
প্রতিটি পরিবারে মাদক নির্মূলে নারীরা তাদের সন্তানকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, সকল উন্নয়নেই নারীরা বড় ভূমিকা রাখছে, তাই এখানেও রাখতে পারে। নারীরা পারে না এমন কোনো কাজ নেই।
আরও পড়ুন: আহমেদ ফিরোজ কবিরের মায়ের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের শোক
সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের যোগ্য সম্মান দিতে হবে: ডেপুটি স্পিকার