আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকা পাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার সংসদে এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আগামী বছরের প্রথম দিকে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হব। এই সময়ের মধ্যে কীভাবে বেশ কয়েকটি উৎস থেকে বাংলাদেশ করোনা টিকা সংগ্রহ করবে তিনি তার ব্যাখ্যা দেন।
মন্ত্রী সংসদে তাঁর মন্ত্রণালয়ে ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় তিনি বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের সমালোচনার জবাব দেন। জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সংসদ সদস্যরা জনগণের জন্য করোনা টিকা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে আবারও প্রথম ডোজের টিকা দেয়া শুরু
জাহিদ মালেক বলেন, মডার্নার প্রায় ২৫ লাখ করোনা টিকা ২ থেকে ৩ জুলাইয়ের মধ্যে আসবে। চীন থেকে কেনা টিকাগুলিও ততক্ষণে আসতে শুরু করবে। বাংলাদেশ চীনের সিনোফার্মের সাথে দেড় কোটি টিকা কেনার একটি চুক্তি করেছে। কোভাক্স সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ কোটি ৩০ লাখ টিকা পাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ১০ কোটি টিকার ডোজ জমা হবে। যার মাধ্যমে পাঁচ কোটি লোককে টিকা দেয়া যাবে। এছাড়াও, বাংলাদেশ আগামী বছরের প্রথম দিকে জনসন অ্যান্ড জনসনের কাছ থেকে সাত কোটি ডোজ টিকা পাবে। এগুলো সাত কোটি মানুষকে দেয়া যাবে।
২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পাসের সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় যোগ দেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ, রুমীন ফারহানা ও মোশাররফ হোসেন, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক, পীর ফজলুর রহমান, রুস্তুম আলী ফারাজি, শামীম হায়দার পাটোয়ারী। স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেন তাঁরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, দুর্নীতির ঘটনা কোথায় ঘটেছে তা আপনাদের নির্দিষ্ট করে বলতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির গণ অভিযোগ মেনে নেয়া যায় না।
আরও পড়ুন: ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ নিয়ে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী
জাহিদ মালেক বলেন, করোনায় বিধি নিষেধের মধ্যে কেউই চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে পারেননি। তাঁরা দেশের হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আপনারা সেবা নিচ্ছেন যেহেতু হাসপাতালগুলি সেবা দিতে পারছে। আপনারা ভাল থাকুন।