বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন আনোয়ারকে মালদ্বীপের প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচইউ)।
ডা. নাজনীন আনোয়ারের জনস্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে ৩৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল তিনি মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহীদের কাছে তার আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ টিকা কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নয়: ডব্লিউএইচও
তিনিই প্রথম বাংলাদেশি নারী যিনি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এই পদে ভূষিত হয়েছেন।
জনস্বাস্থ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা সনদ ছাড়াও ডা. নাজনীন আনোয়ারের পেশাগত অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছে- মানসিক স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য নীতি, পরিকল্পনা এবং সক্ষমতা বিকাশ, অসংক্রামক রোগ, পুষ্টি, ভ্যাকসিন প্রতিরোধযোগ্য রোগ, অক্ষমতা প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য গবেষণা এবং উন্নয়ন প্রভৃতি।
তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক অফিস, বাংলাদেশে ডব্লিউএইচও’র কান্ট্রি অফিস এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও সফলতার সাথে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: পরবর্তী মহামারি আরও ভয়াবহ হতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
অংশীদারিত্বের বিকাশ এবং সম্পদ একত্রিতকরণের মাধ্যমে এই অঞ্চলজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও ক্ষমতাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদ্ধতির বিকাশ ও বাস্তবায়নের সুবিধার্থে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে এই কৃতিত্ব দেয়া হয়। মানসিক স্বাস্থ্য এবং পদার্থের ব্যবহার নীতি, পরিকল্পনা, কর্মসূচি এবং আইনসভা কাঠামোকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তার সফল ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
ডা. নাজনীন আনোয়ার তার বাবা-মা’র ৭ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। তার বাবা মরহুম মাহবুব আলম আনোয়ার ছিলেন চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (বর্তমান এফআইসিসিআই, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ)। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী ডা. নাজনীন চট্টগ্রামের সেন্ট স্কলাস্টিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে’র শিক্ষার্থী ছিলেন।