ডব্লিউএইচও এর জরুরি কর্মসূচি প্রধান ডা. মাইক রায়ান বলেছেন, ‘পরবর্তী মহামারি আরও ভয়াবহ হতে পারে। আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন কেননা আমরা প্রতিনিয়ত জটিল হয়ে যাওয়া একটি সমাজ ও একটি ভঙ্গুর গ্রহে বসবাস করছি।’
সোমবার তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের হারিয়েছি, চলুন তাদের সম্মান জানাই।’ খবর ইউএন নিউজ।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও বেড়েছে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য
ডব্লিউএইচও কোভিড-১৯ বিষয়ক টেকনিক্যাল টিমের প্রধান ডা. মারিয়া ভ্যান বলেন, অনেক দেশ রয়েছে, যারা উচ্চ আয়ের বা ধনী দেশ নয়, তারা কোভিড-১৯ ভালোভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। তারা সম্মিলিতভাবে ভাইরাস মোকাবিলা করেছে।
ডা. মারিয়া ও রায়ান আগামীতে এ ধরনের স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সকল সুবিধা নিয়ে বিশ্বকে স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া নাগরিকরা যাতে নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারেন সেজন্য তাদেরকেও এসবের সাথে জড়ানোর কথা বলেন।
নতুন ধরনের ভইরাস নিয়ে গবেষণা
ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গ্যাব্রেয়াসুস সাংবাদিকদের বলেন, ভাইরাসের নতুন ধরনের ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা, মানুষকে অসুস্থ করা, অথবা পর্যাপ্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব, চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন নিয়ে জাতিসংঘ সংস্থা প্রতিদিনই গবেষণা করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে যুক্তরাজ্যের যাত্রীদের
আধানম বলেন, যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বিজ্ঞানিরা এ বিষয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে, যা সংস্থাকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, ‘শুধুমাত্র সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমেই কেবল দেশগুলো নতুন ধরন সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে এটি মোকাবিলা করতে পারবে। স্বচ্ছভাবে নতুন বৈজ্ঞানিক তথ্য শেয়ার করার কারণে ওইসব দেশগুলোকে আমরা যাতে শাস্তির মুখোমুখি না করি আমাদের সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
ডব্লিউএইচও এর সাথে কাজ করা অনেক সংগঠনকে ধন্যবাদ দিয়ে আধানম বলেন, চলতি বছরে আবিষ্কার হওয়া ভ্যাকসিনের স্বচ্ছ ও সমবণ্টন নিশ্চিত করার কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনা: নেগেটিভ সনদ না থাকায় ভারতফেরত ৩৩ জন কোয়ারেন্টাইনে
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১২ লাখ ৪৯ হাজার ২৮ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৭ লাখ ৭২ হাজার ৯১২ জনে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা দেয়া শুরু করেছে ইইউ