মুন্সীগঞ্জে এক নারীকে হত্যা করে গুম করার চেষ্টার অভিযোগে হাবিবুর রহমান মিজি নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায় আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ড. মো. আলমগীর এর রায় দেন।
এ সময় আসামি আদালতের উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। আসামি হাবিবুর রহমান মিজি টঙ্গীবাড়ি উপজেলার উত্তর কুরমিরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিজির ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ী লাখারন গ্রামের মৃত শফি উদ্দিনের মেয়ে মামলার ভিকটিম সালেহা উদ্দিন ওরফে ডলি একজন অবিবাহিতা নারী ছিলেন। তার মানসিক সমস্যা ছিল। ২০১৮ সালের ২ মার্চ দুপুরে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, আসামি হাবিবুর রহমান মিজি লৌহজং উপজেলার নওপাড়া গ্রামের হাজী কালাম মোল্লার বাড়িতে ভাড়া থাকে।
সেখানে এজন নারীর লাশ গোপন কক্ষে রাখা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ডলির ভাই সেখানে গিয়ে তার বোনের ছবির সঙ্গে লাশের ছবির মিল পায় বলে জানতে পারে।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর লক্ষণ পাল হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
আসামি হাবিবুর রহমানকে স্থানীয় লোকজন মেয়েটির কথা জিজ্ঞাসা করলে ওই সময় তিনি বলেন, ‘পদ্মা নদীতে ভেসে আসা লাশটি ঘরের ভেতর রেখে দিয়েছে।’
পরে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ পুলিশ হাবিবুরের স্বয়ং কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ও হাবিবুরকে আটক করে। এ সময় লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় মৃত নারীর ভাই টঙ্গীবাড়ী উপজেলার লাখারন গ্রামের মৃত শফি উদ্দিন ছেলে নূর মোহাম্মদ দপ্তরি বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২২ মার্চ টঙ্গীবাড়ী থানায় হাবিবুর রহমান মিজিকে আসামি করে মামলা করে। এ ঘটনায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাবিবুরকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাছান সারওয়ার্দী।