দেশের স্বার্থে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ওয়াশিংটন এবং এর বাইরে লবিস্ট নিয়োগ করতে বাংলাদেশ পিছপা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে, আমরা একে ‘তদবির’ (লবিং) বলে থাকি। যেখানে প্রয়োজন সেখানে আমরা লবিং করব। আমরা দেখব কীভাবে আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে এই কাজটি করতে পারি।’
শুক্রবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে (বিলিয়া) এক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ দেয়া সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধ দাবি করে আব্দুল মোমেন বলেন,প্রত্যেকেরই লবিস্টকে নিয়োগ দেয়ার অধিকার আছে, এতে (অবৈধ) কিছু নেই।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির কথিত লবিস্টদের জড়িত করার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা তাদের মাথাব্যথা, আমার নয়।
আরও পড়ুন: এখনই লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মোমেন বলেন,বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্রে অনেক ধাক্কা আসে। সব গণতন্ত্রেই অপরিপূর্ণতা আছে। এটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা দিনে দিনে পরিপক্বতা অর্জন করেছি। আমেরিকা পরিপক্বতা অর্জন করার মধ্যেও ধাক্কা খায়। এ ধরনের ধাক্কা আসে। কোথাও দুর্বলতা থাকলে আমরা অবশ্যই তা দূর করার চেষ্টা করব।
যুক্তরাষ্ট্রকে অত্যন্ত পরিপক্ব জাতি হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যদিও র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমেছে। এটা তাদের নিরপেক্ষ সমীক্ষা। সেগুলো নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করবে। পৃথিবীজুড়ে সন্ত্রাস দূর করা ও সন্ত্রাসীদের ধরা তাদের লক্ষ্য। মাদক ও মানব পাচার কমানো তাদের লক্ষ্য। র্যাব এগুলো সফলভাবেই করছে। এ কারণেই র্যাব জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমার মনে হয় সবাই এটা বুঝবে। তখন হয়তো অবস্থার পরিবর্তন হবে।
আগের দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীর বিলিয়া অডিটোরিয়ামে ‘মহামারি এবং মহামারি পরবর্তী সময় আইন ও আইনি শিক্ষা’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিলিয়া চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন ডক্টর মো. রহমত উল্লাহ এবং বিলিয়ার পরিচালক মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও শ্রমবাজার খোঁজার তাগিদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কিছু দেশের অসন্তুষ্ট থাকার কারণ বের করে সমাধানের চেষ্টা করব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী