রাজধানীর এটি হোটেলের কক্ষে নিজের চিকিৎসক স্ত্রীকে হত্যার কথা তার স্বামী স্বীকার করেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব সদরদপ্তরে পুলিশের এলিট ফোর্সের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের সময় রেজাউল করিম রেজা আমাদের জানান, তিনি তার স্ত্রী ডা. জান্নাতুল নাঈম শ্রীতিকাকে তার জন্মদিন উদযাপনের অজুহাতে হোটেলে নিয়ে যান এবং তারপর ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করেন।’
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকা থেকে রেজাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ ও ৭ সদস্যরা।
গত ১০ আগস্ট রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টের পঞ্চম তলার কক্ষ থেকে শ্রীতিকার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
মগবাজার কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে গাইনোকোলজির প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন শ্রীতিকা।
পরদিন নিহতের বাবার অভিযোগে রেজাকে আসামি করে কলাবাগান থানায় একটি মামলা করা হয়।
একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত রেজা কক্সবাজারের বাসিন্দা। গ্রেপ্তারের পর রেজার কাছ থেকে রক্তমাখা কাপড়, মোবাইল ফোন ও স্ত্রীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করে র্যাব।
রেজার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হওয়ার পর রেজা ও শ্রীতিকা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে এবং ২০২০ সালে গোপনে বিয়ে করেন। তাদের পরিবার এই বিয়ের কথা না জানায় তারা রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে দেখা করতেন।
র্যাব বলেন, ‘রেজার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য শ্রীতিকা ও রেজার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকলে রেজা তার স্ত্রীর কাছ থেকে পরিত্রাণ পেতে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।’
র্যাব আরও জানায়, গত ১০ আগস্ট রেজা তাকে তার জন্মদিন উদযাপনের জন্য হোটেলে নিয়ে যায় এবং পরিকল্পিতভাবে ঝগড়া শুরু করে। তারপর ছুরি দিয়ে শ্রীতিকাকে আঘাত করে এবং পরে তার গলা কেটে দেয়।
হত্যার পর আসামি হোটেলের ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে রুম ছেড়ে দিয়ে বাসে করে চট্টগ্রামে পালিয়ে যায় বলে জানায় র্যাব।
আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান কমান্ডার খন্দকার।