রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।
রবিবার ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠানোর মাধ্যমে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর কাছে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন এবং ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে এবং এখানকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে।
‘রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত’ উল্লেখ করে ওআইসি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ওআইসির জন্য একটি অগ্রাধিকার ইস্যু।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাইয়ে কক্সবাজারে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, ওআইসির কাছে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন, ওআইসিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান অবদানের কথাও স্মরণ করেন।
ওআইসি মহাসচিব বিশ্ব শান্তিতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে জোলিয়ট-কিউরি শান্তি পুরস্কার প্রদানের ৫০তম বছরে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক ইউনিট) রিয়ার আমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম এবং ওআইসি সহকারী মহাসচিব অ্যাম্বাসেডর আসকার মুসিনভ উপস্থিত ছিলেন।
ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা পাঁচ দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় এসেছেন।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি ৩০ মে অনুষ্ঠিতব্য আইইউটির ৩৫তম সমাবর্তনে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা মামলা: সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন ওআইসি মহাসচিব