সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও যমুনা তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বহু ঘরবাড়ি ও জায়গা জমি যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এক সপ্তাহে শাহজাদপুর উপজেলার ভেকা, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর ও পাকুরতলা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘরসহ চার গ্রামের অন্তত সাড়ে চারশ বাড়িঘর যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙণ ঝুঁকিতে রয়েছে নদী তীর এলাকার পাকুরতলা (আশ্রয়ণ) প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাসির উদ্দিন জানান, জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশেষ করে যমুনা তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। অনেক এলাকার কাঁচা ও পাকা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং অনেক স্থানে বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, তবে যমুনায় পানি কমতে থাকায় যমুনা তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার অনেক স্থানে প্রচণ্ড ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, এনায়েতপুর, কাজিপুর ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ইতোমধ্যেই অনেক ঘরবাড়ি, জায়গা জমি, গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, বন্যায় নিম্নাঞ্চলের ৯ হাজার ১০৬ হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, তিল, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে বিনষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি ভাঙনের বিষয়টি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় শাবি শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম অব্যাহত
উপজেলার বন্যার্তদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
তিনি বলেন, দুই-একদিনের মধ্যেই কয়েকটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করা হবে এবং ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোকে পরে নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন করা হবে।