প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা শিক্ষার্থীদেরও সংক্রামিত করতে পারে, এটা জেনেও সরকার তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারে না। শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে।
শনিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদেরসহ একাধিক বিরোধী সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এ সময় তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে যে ক্ষতি হয়েছে তা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুনঃ জুলাই মাসে ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরু হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুরাও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। এটি ভাল কথা যে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে শিখবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভাইরাসও তাদের সংক্রামিত করতে পারে জেনেও তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া উচিত হবে কি?
সংসদে জিএম কাদেরসহ একাধিক বিরোধী দলীয় উপনেতা অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করবে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে আগ্রহী নন। যাঁরা এ ব্যাপারে বেশি সোচ্চার তাদের কোন শিশু স্কুলে যায় না কিংবা ইতিমধ্যে পড়াশোনা শেষ করেছে।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ইতিমধ্যে শিক্ষকদের টিকা দিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিএইচও) নির্দেশনা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেবে। আমরা ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা অনুসরণ করছি। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করেছি।
করোনা টিকা পাওয়ার সমস্যা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, সরকার নগদ অর্থ দিয়েও ভারতের কাছ থেকে সব টিকা পায়নি।হঠাৎ ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির সরকার টিকা রপ্তানিতে বাধা দেয়। এ কারণে আমরা কিছুদিন সমস্যায় পড়েছিলাম।
আরও পড়ুনঃ ধৈর্য ধরুন, দেখেন কী করতে পারি: টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা সংসদে জানান, ইতিমধ্যে দেশে ফাইজার, মডার্না ও সিনোফার্ম টিকার প্রচুর পরিমাণ ডোজ পৌঁছেছে। তিনি বলেন, যেসব দেশগুলিতে করোনার টিকা পাওয়া যায় আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছি। আমরা আরও টিকা সংগ্রহ করব। যত টাকা লাগুক না কেনো, আমরা কিনব। তার জন্য আমরা আলাদা তহবিল বরাদ্দ দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা সংগ্রহের জন্য সরকার চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে যোগাযোগ করছে এবং সরকার ৮০ শতাংশ মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেবে। তিনি আরও যোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে জেলা পর্যায়ে সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বলে আমরা বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি।