শনিবার বেলা ১১টার দিকে মহানগরীর জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ছাত্র আন্দোলনের মুখোমুখি হওয়ার ভয়েই তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে না। আজ আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধাহীন প্রজন্ম হিসেবে গড়ে উঠছে। আমাদের সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে ও জোরালো দাবি জানাতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্থগিতাদেশ বাতিল করে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মহাসড়কে ববি শিক্ষার্থীরা
রাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ বলেন, ‘সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে। শুধু আমরা নই আমাদের অভিভাবকরাও দিন দিন দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছে। এমনকি হার্ট অ্যাটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মারাও গেছে। অবিলম্বে আমাদের দাবি মেনে নিন। নয়তো ছাত্রসমাজ মাঠে নামলে পালানোর পথ পাবেন না।’
আরও পড়ুন: ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা চলবে: মন্ত্রণালয়
চুয়েটের সব পরীক্ষা ২৪ মে পর্যন্ত স্থগিত
শাবিতে পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা সিদ্ধান্ত জানাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান বলেন, ‘ঈদের আগে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। শিক্ষার সাথে শুধু শিক্ষার্থীই নয়, আরও অনেক কিছুই জড়িত। রাজশাহী শিক্ষা নগরী। পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য শিক্ষার্থীদের সাথে সংশ্লিষ্ট। বর্তমানে শিক্ষার সাথে সাথে ব্যবসাও পণ্ড হচ্ছে। আমরা এমন উন্নয়ন চাই না যেখানে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়।’
অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন মোল্লা, রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশীদ, রাজশাহী মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ বিন আফতাব, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আবদুল মজিদ অন্তর, যুব অধিকার পরিষদের সদস্য মহিবুল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে শুরু, আবেদন শুরু ৮ মার্চ
ইবির এমফিল, পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর দুপুর ১২টার দিকে একই স্থানে চলমান পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিতের প্রতিবাদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার দাবি জানান।