করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক এবং সমান সংখ্যক নার্স নিয়োগ দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ডাক্তার নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছে। তারা আর কত কাজ করবে? নতুন ৪ হাজার চিকিৎসক আমরা নিচ্ছি, নার্সও ৪ হাজার নেয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নেয়া হচ্ছে।’
সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এখন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
পড়ুন: মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্রামে ভ্যাকসিন নেয়া নিয়ে বয়স্কদের মধ্যে একটা অনীহা আছে, তাই ওয়ার্ড পর্যায়ে বয়স্ক লোকদের টিকা দয়োর ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালে দেখা গেছে গ্রামের বয়স্ক লোকেরাই আছেন ৭০ শতাংশ, তাদের মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ।
‘ভ্যাকসিনেট কার্যক্রম এখন আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও জেলা-উপজেলা লেভেলে বেশি জোর দিব। গ্রামের লোকেরা অনেক সময় পরীক্ষা করতে চায়না। তাদের টেস্ট করার বিষয়েও জোর দিব,’ বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালের ৯০ শতাংশ আসনে রোগী ভর্তি। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, করে যাব। বঙ্গমাতা কনভেনশন সেন্টারে আমরা অচিরেই উদ্বোধন করছি। এরপর কোনো ভবনও নেই যে আমরা কিছু করব, হাসপাতাল স্থাপন করব।
পড়ুন: ২১ কোটি টিকা আসছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আইভিআইয়ের সহযেগিতায় দেশেই টিকা উৎপাদন সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, লকডাউন দিয়ে যদি মানাতে না পারি, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে তো ভয়াবহ পরিণতি। হাসপাতালে জায়গা হবে না। ইকোনোমিতে অ্যাফেক্ট পড়বে। প্রোডাকশনে অ্যাফেক্ট করে যাবে।
‘লকডাউনের ৩-৪ দিন চলছে, রাস্তাঘাটে যেভাবে মানুষ বের হচ্ছে, গাড়ি-ঘোড়া চলছে, আমরা তাতে খুবই দুঃখিত। কারণ তাতে লকডাউন ব্রেক হচ্ছে। তারা নিজেদের ক্ষতি করছে,’ বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জরিমানা করা হচ্ছে, জেলেও পাঠানো হচ্ছে তারপরেও এটা মানছে না। কিন্তু এটা মানাতে হবে। এটা ছাড়া দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ।’
তিনি বলেন, লকডাউন মানাতে হবে। লকডাউন মানানোর জন্য যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে আরও কঠোর হতে হবে।