বিভিন্ন খাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অপরাধীর কোনো পরিচয় নেই, দুর্বৃত্তের কোনো দল নেই।’
বুধবার সকালে সচিবায়লস্থ নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি-এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
কাদের বলেন, ‘অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি’র কর্তাব্যক্তিদের গ্রেপ্তারই অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান প্রমাণ করে।’
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা সীমান্তে গ্রেপ্তার রিজেন্টের সাহেদকে আনা হল ঢাকায়
এসময় আসন্ন কোরবানির ঈদে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গবাদি পশুরহাট এবং অন্যান্য সকল জনসমাগম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।
‘ক্ষণিকের অবহেলা কিংবা শৈথিল্যে ঈদের সার্বজনীন আনন্দ বিষাদে রূপ নিতে পারে’, যোগ করেন তিনি।
জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা’র বাংলাদেশ অফিসের প্রধান হায়াকায়া উহো এবং বাংলাদেশস্থ জাপান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব তাকাশি শিরাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফেট প্রদানকে কেন্দ্র করে বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
পরবর্তীতে সকাল ৯টার দিকে একটি হেলিকপ্টারে করে সাহেদকে নিয়ে ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে পৌঁছান র্যাব সদস্যরা।
সেখানে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার জানান, তারা সাহেদকে গত ৯ দিন ধরে অনুসরণ করছিলেন এবং বারবার তিনি (সাহেদ) তার স্থান পরিবর্তন করে আসছিলেন।
তিনি জানান, রিজেন্ট হাসপাতাল কেলাঙ্কারির প্রধান আসামি সাহেদকে আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা দেবহাটা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি (সাহেদ) ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এর আগে সাহেদের অন্যতম সহযোগী বলে পরিচিত রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে মঙ্গলবার গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তার আগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়ার জালিয়াতির সাথে জড়িত বহুল আলোচিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জাল কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরির অভিযোগে তেজগাঁও থানায় একটি মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।