ধর্ষণের শিকার নারীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ও কঠোর আইন প্রনয়ণের মাধ্যমে ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
এতে অংশ নেয়া বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই বাম দলীয় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী।
ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা এবং ধর্ষণে জড়িতদের বিচার জন্য বিশেষ আদালতেরও ব্যবস্থা করার দাবিও জানান তারা।
এসময় দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনা রোধে ‘ব্যর্থ’ হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী এ আন্দোলন অব্যাহত রাখাতে আরও কিছু কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।
যার মধ্যে থাকবে- ১১ অক্টোবর ধর্ষণবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ১২ অক্টোবর সাংস্কৃতিক সমাবেশ, ১৩ অক্টোবর চলচ্চিত্র উৎসব, ১৪ অক্টোবর নারী সমাবেশ ও ১৫ অক্টোবর সারা ঢাকায় ধর্ষণবিরোধী সাইকেল র্যালি।
এদিকে, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণসহ সম্প্রতি ঘটা ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমে বিচারসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ শ্লীলতাহানি ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার পর ধর্ষণ বিরোধী বিক্ষোভে সারাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠেছে। গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।