অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের আওতায় গ্রেপ্তার প্রথম আলো পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের জামিন হয়নি আজ। শুনানি হলেও রায় দেয়া হবে আগামী রবিবার।
বৃহস্পতিবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকি বিল্লাহ ভার্চুয়ালি তার জামিন শুনানিতে অংশ নিয়ে এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক মামলা বাতিলে দাবি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার গত মঙ্গলবার আদালতে তার জামিন আবেদন করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
৪২ বছর বয়সী এই নারী সাংবাদিক অত্যন্ত সুপরিচিত তার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য। সোমবার দুপুর থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা তাকে সচিবালয়ে আটকে রাখার পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার গ্রেপ্তারে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ
মামলার নথি থেকে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে করোনা টিকা ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্রের অবৈধভাবে ছবি তোলার অভিযোগ করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ৩৭৯, ৪১১ ধারা এবং অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট এর আওতায় মামলা দায়ের করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
মঙ্গলবার অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের মামলায় অভিযুক্ত রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত। অপরদিকে পুলিশের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনও বাতিল করে দেয়া হয়। ওইদিন ই তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রোজিনার মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেল গোয়েন্দা পুলিশ
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রাখা এবং ৫ ঘণ্টা পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করার বিষয়টি তদন্ত করতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
তবে বুধবার রোজিনার বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার প্রতিবাদ, তার বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সারাদেশের সাংবাদিকরা মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বয়কটের ঘটনাও ঘটে।
এদিকে এই ঘটনায় জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, টিআইব, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে।