তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্পাদক ফোরামের নেতৃত্বে সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে গত নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল। সার্চ কমিটি যে সঠিকভাবে কাজ করে সেটা এ নির্বাচন কমিশন দেখলেই বোঝা যায়। এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশে কোনদিন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না। সকল উন্নত দেশে তাই হয়। আমাদের দেশেও তাই হবে।
আরও পড়ুন: ক্লিনফিড বাস্তবায়নে বুধবার থেকে ফের মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যথার্থ বলেছেন, কোন দুঃখে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে। আবার কি পেট্রোল বোমা মারার জন্য, ৫০০ জায়গায় এক সাথে বোমা বিস্ফোরণের জন্য, আদালতে বোমা বিস্ফোরণের জন্য। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার জন্য, কিবরিয়া, আহসানুল হক মাস্টারের মতো লোকের মৃত্যু হওয়ার জন্য। বাংলা ভাই, শেখ আব্দুর রহমানের উৎপত্তি হওয়ার জন্য। এজন্য মানুষ তাদের ভোট দেবে। এগুলো আসলে খালি কলসি যেমন বেশি বাজে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবও প্রতিদিন বেশি বাজে। কারণ তারা সমর্থনহীন এজন্য তারা বেশি বাজে।’
‘দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে, আওয়ামী শাসন থেকে মুক্তি পেতে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে এবং তত্বাবধায়ক সরকার করে দেখান’মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব প্রতিদিনই কথা বলেন। প্রতিদিন তিনি একি ধরনের কথা বলেন। কথার মধ্যে কোন ভিন্নতা নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশের মানুষের যেখানে উন্নয়ন হয়েছে আগে আমরা স্লোগান দিতাম শ্রমিকের মজুরি হবে সাড়ে তিন কেজি চালের দামের সমান। এখন শ্রমিকের মজুরি কমপক্ষে ১২ কেজি চালের দামের সমান। ৫০০ টাকা একজন শ্রমিকের মজুরি হলে প্রতিদিন সে ১২ কেজি চাল কিনতে পারে। কোন কোন স্থানে ৮০০ টাকায় ও শ্রমিক পাওয়া যায় না। উত্তরবঙ্গে ৫০০ টাকায় মজুরি পাওয়া যেতে পারে। চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় শ্রমিক পাওয়া যায় না। তাহলে ১৫ কেজির চাল কিনতে পারে। আমি কম করে ধরেছি। এই যে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, সারা পৃথিবীর প্রশংসা করে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা প্রশংসা করতে পারে না। এটি হচ্ছে দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন: বিএনপির উচিত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা: তথ্যমন্ত্রী