সিলেটের কানাইঘাটে প্রায় দশ দিন আগে এক বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশু সুলতান (১০) এখন গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর বোমার আঘাতে তার ডান হাতের একটি আঙুলের অর্ধেকাংশ পুড়ে যায়। বাকি ৪টি আঙুলও স্প্রিন্টারের আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। বাম হাতের অবস্থা আরও নাজুক। বাম চোখ অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে ১৭টি স্প্রিন্টার বের করেছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর ১০দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোনও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারেনি কানাইঘাট থানা পুলিশ। শঙ্কায় রয়েছেন শিশু সুলতানের পরিবারও।
জানা গেছে, উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেহগঞ্জ গ্রামের প্রবাসী ফরিদ উদ্দীনের বসতঘরে গত ১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু সুলতান বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের ফুলকি থেকে কেরানীগঞ্জের টিনশেড মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড
পরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সরেজমিন ছুটে গেলেও কোন আলামত জব্দ না করেই চলে আসে। তবে ঘটনাস্থলে পৌছেঁ পুলিশ ভিডিও ধারণ করে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এদিকে আহত সুলতানের বড় ভাই মাহমুদ হাসান জানান, একই গ্রামের আমিন উদ্দীনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম এবং নুর উদ্দিনের ছেলে রাসেল রবির জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করছেন।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার এসআই মজম্মিলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই শিশুর মা আমাদের কোনও তথ্য দিতে পারেননি। এছাড়া বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তকাজে বিলম্ব হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী আহত
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দু-একদিনের ভেতরেই আলামত সংগ্রহ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত থাকবে তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।