ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৮টির বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ঢাকার মিরপুরে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে মোট ১৯৭টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: মিরপুরে বাস পোড়ানোর ঘটনায় ‘বিরোধী দলের’ ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
তিনি আরও জানান, ‘মোট অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে ঢাকা শহরে ৯৫টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।’
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, সারাদেশে ১৯৭টি অগ্নিসংযোগের মধ্যে ঢাকা মহানগরীসহ ঢাকা বিভাগে ১৩২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, রংপুর বিভাগে ৭টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২টি ও সিলেট বিভাগে একটি অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে- মোট ১১৮টি বাস, ২৬টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ডভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল, ২টি প্রাইভেটকার, ৩টি মাইক্রোবাস, ৩টি পিকআপ ভ্যান, ৩টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২টি ট্রেনের কিছু ক্যারেজ, একটি হিউম্যান হলার, ৩টি লেগুনা, একটি ফায়ার সার্ভিস ওয়াটার ট্রাক, একটি পুলিশ ভ্যান, একটি বিএনপি অফিস, একটি আওয়ামী লীগ অফিস, একটি পুলিশ বক্স, একটি কাউন্সিলর অফিস, ২টি বিদ্যুৎ অফিস। এ সময় একটি বাস কাউন্টার ও ২টি দোকান পুড়ে যায় বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার (২৮ অক্টোবর) সর্বোচ্চ ২৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটলেও ফায়ার সার্ভিস বলছে, তারা ৩০টি জেলায় এ ধরনের কোনো প্রতিবেদন পায়নি।
এ সময় সারাদেশে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৪১টি ইউনিটের ১ হাজার ৮৮৮ জন সদস্য কাজ করেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দেয়।
বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একজন পুলিশ কনস্টেবলসহ দু্ইজন মারা যান।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৭