সম্প্রতি চালু করা নতুন ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কৌশল’ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। এতে যুক্তরাজ্য এবং তার অংশীদার দেশসমূহের কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধি ঘটবে।
পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নের ভবিষ্যতের জন্য তার দেশের দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছেন। যা ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের অংশীদার দেশসমূহকে সহায়তা করবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের তথ্যমতে, বিশ্বে ভূরাজনীতির প্রভাব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কৌশল’ প্রকাশ করেছেন।
ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) নারীদের শিক্ষিত করা ও জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদানসহ কিছু খাতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে দ্বিপক্ষীয় কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কৌশল’-অংশীদার দেশসমূহকে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দেবে এবং অনেক দেশকে মুক্ত-বাজার অর্থনীতির ছায়াতলে আনবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা স্পেনের প্রেসিডেন্টের
এই কৌশলের ফলে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিনিয়োগ, ভুক্তভোগী নারী ও তরুণীদের মানবিক সহায়তা দেয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য উন্নয়নের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কাজ চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক নীতির কেন্দ্রবিন্দু হবে উন্নয়ন। বৈদেশিক নীতির উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আমরা আমাদের উন্নয়ন, কূটনীতি, বিনিয়োগ, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং বুদ্ধিমত্তাসহ সকল ধাপ ব্যবহার করব।
তিনি আরও বলেন, কৌশলটি ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট এবং অন্যান্য উপাদানসমূহকে ব্যবহার করে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে নিজেদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সৎ ও নির্ভরযোগ্যভাবে সহায়তা দেবে।
এই পদ্ধতিটি ক্লিন গ্রিন ইনিশিয়েটিভ প্রদানেও সাহায্য করবে। যা অংশীদার দেশগুলোকে তাদের অর্থনীতি টেকসইভাবে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও যুক্তরাজ্য সরকার দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচির সাহায্য বাজেটের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশলও ব্যবহার করবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই বৈদেশিক নীতির একটি মূল অংশ হিসেবে উন্নয়নকে ব্যবহার করতে হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের কৌশল বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং যুক্তরাজ্য ও অংশীদার দেশসমূহের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রাম আবারও চালু করল ভারত