পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা’র ইতিহাস তালিকাভুক্ত করেছেন।
তিনি ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পূর্ণ সম্মতিতে’ যে নৃশংস হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছিল সেগুলো তুলে ধরেন। যিনি (জিয়াউর রহমান) পরে খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন।
রবিবার (১৩ আগস্ট) এক টুইটে শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, ‘১৫ আগস্ট ১৯৭৫: জাতির জনক (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পূর্ণ সম্মতিতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। পরে তিনি তাদের (খুনিদের) বিদেশে বিভিন্ন মিশনে রেখে তাদের পুরস্কৃত করেন।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আল-শামস এবং তাদের সহযোগীরা ৯ মাসে ৩ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছে, ২ লাখেরও বেশি নারীর সম্ভ্রমহানি করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে এসে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকের ‘বিএনপি-জামায়াতে’ সেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগীরা রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা: শাহরিয়ার
শাহরিয়ার আলম ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট যে বর্বরতা সংঘটিত হয়েছিল তার কথাও উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলের নেতৃত্বে রাষ্ট্রযন্ত্র ২৪ জনকে হত্যা করেছিল এবং ৫০০ জনের বেশি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে আহত করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হতে চায় এবং মানবাধিকারের প্রচার করতে চায়; তবে তাকে এই ঘটনা এবং এগুলোর প্রভাব সম্পর্কে আরও জানতে হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার টুইটে আরও লিখেছেন, ‘এসব শহীদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে সাহায্য করার জন্য ন্যায়বিচার করতে দিতে হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, ‘বলা বাহুল্য, এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো কিছু রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যৎ এবং অন্যদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নির্ধারণ করেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার