বর্তমানে ওই এলাকায় কোনো সিড স্টোর না থাকায় কৃষকেরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। সম্প্রতি উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এ ব্যাপারে আলোচনার পর বিষয়টি নজরে এসেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, ঘোষপুর ইউনিয়নের ধর্মহাটা মৌজায় ভীমপুর বাজারের সংলগ্ন প্রায় ১৪ শতক জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছিল এই সিড স্টোরটি। এখানে সিড স্টোরের পাকা ভবনের হলরুম, গোডাউন ও একজন ব্লক সুপারভাইজার থাকার কোয়ার্টার ছিল। একজন ব্লক সুপারভাইজারও সেখানে থাকতেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধর্মহাটি মৌজার সিড স্টোরের ওই ভবনের বর্তমানে কোনো অস্তিত্ব নেই। ঘোষপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সরদার মজিবর রহমান ওই জমি দখলে নিয়ে কিছু অংশ জুড়ে পাকা বাসভবন নির্মাণ করেছেন। আর অবশিষ্ট জমিতে তিনি বাগান ও একটি দ্বিতল মার্কেট ভবন নির্মাণ করেছেন।
আরও পড়ুন: দখল মুক্ত হলো বোয়ালমারীর কুঠিবাড়ি সরকারি খাল
আরও পড়ুন: আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফরিদপুরে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মজিবুর রহমান সিড স্টোরের পাকা ভবন থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, তার বাবা মরহুম সরদার মোজাম্মেল হোসেনের প্রচেষ্টাতে তাদের জমিতে ওই সিড স্টোর তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ে ধসে যাওয়ার পর সেটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর সেটি ভেঙে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, যদি পরবর্তীতে সিড স্টোর তৈরি করা হয় সেজন্য পাশের ভীমপুর বাজারে তিনি কিছু জমিও দিয়েছেন।
তবে মজিবুর রহমানের দাবি অনুযায়ী ভীমপুর বাজারে সিড স্টোরের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। রাস্তার পাশের কয়েকটি দোকান ঘর দেখিয়ে স্থানীয়রা জানান, এই জমি সিড স্টোরকে দেয়া হয়েছে বলে তারা জেনেছেন। তবে এইসব দোকানীরা কীভাবে ওই জমিতে দোকান ঘর তুলে ব্যবসা করছেন তা তারা জানেন না।
আর মজিবর রহমান বলছেন, বাজার মেলানোর স্বার্থে অস্থায়ী ভিত্তিতে এসব ঘর তুলেছে।
ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন বলেন, তার এলাকাটি কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এ কারণেই এখানে এই সিড স্টোরটি স্থাপন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সরকারি জলাভূমি ভরাট করে দখলের অভিযোগ
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জিসি দেবের বাড়িটি আজও দখলমুক্ত হয়নি
আরও পড়ুন: দখল-দূষণ-ভরাটে মৃতপ্রায় কুমিল্লার পুরাতন গোমতী নদী
তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে সিড স্টোরটি বিনিময় করা হয়েছে কিন্তু এটি কি করতে পারে কিনা সেটিই প্রশ্ন। এ ব্যাপারে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সিড স্টোরটি পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
বোয়ালমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিড স্টোরটির জমি বেদখলে রয়েছে। সম্প্রতি উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবনটি কিভাবে ভেঙে ফেলে জমি দখল করা হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি জমি ও সিড স্টোরটি ফিরে পেতে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।