মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ডব্লিউএইচও এটি ছড়িয়ে পড়া রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ডব্লিউএইচও তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’
চীনের উহানে যখন করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হলো, তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর গুরুত্ব সঠিকভাবে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি বলেন,‘ ডব্লিউএইচও যদি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চীনের পরিস্থিতি যাচাই করতো এবং চীনের অস্বচ্ছতা প্রকাশ করে দিতো, তাহলে প্রাদুর্ভাব উৎসতেই নিয়ন্ত্রণ করা যেত, মৃত্যুও অনেক কম হতো।কিন্তু সেটি না করে ডব্লিউএইচও চীনের সরকারের কার্যক্রমকে সমর্থন দিয়েছে।’
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন যে, এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়ন কমানোর সঠিক সময় নয়।
এককভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিলে সবচেয়ে বড় অঙ্কের অর্থায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮-১৯ সালে এই তহবিলে যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বে সবচেয়ে আক্রান্ত দেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার সকাল পর্যন্ত জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৯ হাজার ২৪০ জন ও মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪১ জন।