এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ জনে। কোভিড-১৯ থেকে বিশ্বে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ২১১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় চীনের উহানে। সদ্য সমাপ্ত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৮০৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ছয় হাজার একজন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: বাংলাদেশকে বৃহস্পতিবার ২০ লাখ ভ্যাকসিন ‘উপহার’ দেবে ভারত
ভ্যাকসিন নিয়ে দেশে মেগা লুটপাট চলছে: মির্জা ফখরুল
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৮ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৮৬ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৮৩১ জনের।
আরও পড়ুন: কোভিড: সাড়ে ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দৈনিক মৃত্যু দেখল দেশ
মৃতের সংখ্যায় এর পরেই রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে মোট মারা গেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৭১ জন। তারপরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য। সেখানে ৯৩ হাজার ৪৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
বাংলাদেশে সাড়ে ৮ মাসে একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু
মহামারি করোনাভাইরাসের শিকার হয়ে গত প্রায় সাড়ে ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দৈনিক মৃত্যু দেখল বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৯ মে এক দিনে আটজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারপর থেকে এ সংখ্যাটি ক্রমাগতভাবে বাড়ছিল।
বর্তমানে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৯৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া, ৬৫৬ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৯ হাজার ৬৮৭ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৯৯ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪১০টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৫ লাখ ৬৬৭টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
নতুন যে আট জন মারা গেছেন তাদের সবাই পুরুষ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভারতে করোনার টিকা নেয়ার পর ৪৪৭ জন অসুস্থ
ভ্যাকসিন কূটনীতির লড়াইয়ে নেমেছে যেসব দেশ
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।