মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বন্দরের নিজস্ব দুইজন সিনিয়র পাইলটের নেতৃত্বে ও শক্তিশালী টাগবোট ‘কাণ্ডারী-৮’ এর সহায়তায় জাহাজটি মাতারবাড়ী বন্দর জেটিতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: মহেশখালী: বদলে যাওয়া এক দ্বীপের গল্প
এর আগে, ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজটি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে। সি-শোর মেরিন প্রাইভেট লিমিটেডের জাহাজটির দেশিয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে অ্যানসাইন্ট স্টিমশিপ কোম্পানি লিমিটেড এবং স্টিবেটর হিসেবে কাজ করবেন গ্রিন এন্টারপ্রাইজ।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার 'পেলাভুবন সিলেগন' বন্দর থেকে জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশে গত ২২ ডিসেম্বর রওনা দেয়।
আরও পড়ুন:মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর জন্য প্রস্তুত হতে পারে ২০২৩ সালে
চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সকাল সোয়া ১০টার দিকে ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’ জাহাজটি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরে পণ্যবাহী জাহাজটি পৌঁছায়। পর্যায়ক্রমে আরও জাহাজ আসবে। আগেই জেটিতে জাহাজ ভেড়ানোর জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম। প্রবেশপথে বয় বসানো থেকে শুরু করে সব কাজ শেষ করা হয়।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলের ড্রাফট বেশি থাকায় জোয়ারের জন্য বহির্নোঙরে অপেক্ষা না করেই জাহাজটি সরাসরি জেটিতে ভিড়ানো গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের ওপর নির্ভর করে বহির্নোঙরে (সাগর) অপেক্ষমাণ জাহাজ জেটিতে আনা হয়। অপেক্ষার সময় বাড়লে পরিবহন ব্যয় বাড়ে আমদানিকারকদের।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে কোরিয়ান ক্যাম্প ম্যানেজারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা
এদিকে বন্দর সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ওই জাহাজে ৩১৩ প্যাকেজে ৭৩৬ টন স্টিল স্ট্রাকটার আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিম, কলাম, গার্ডার, টাওয়ার ইত্যাদি। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট অ্যানসাইন্ট স্টিমশিপ কোম্পানি লিমিটেড।
কাশিমা ও নিগাতা নামে জাপানের দুটি বন্দরের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দর। ১৮ হাজার কোটি টাকার এ মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে দুই ধাপে। প্রকল্পটির কাজ ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনই তাতে অস্থায়ীভাবে নোঙর করবে বড় জাহাজ। চট্টগ্রাম বন্দরে এখন সাড়ে ৯ মিটারের অধিক গভীরতার কোনো জাহাজ নোঙর করতে পারে না। কিন্তু এই গভীর সমুদ্রবন্দরে ভিড়তে পারবে ১৮ মিটার গভীরতার জাহাজও।
আরও পড়ুন: মহেশখালীতে ৯৬ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ, ১৫৫ আগ্নেয়াস্ত্র জমা
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের পরিচালক ও বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাফর আলম জানান, মাতারবাড়ীতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা খালাসের জন্য ১৬ মিটার গভীর ও ২৫০ মিটার চওড়া চ্যানেল ও টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। এটিকেই পর্যায়ক্রমে গভীর সমুদ্রবন্দরে রূপান্তর করা হচ্ছে।