বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার বলেছেন, একাধিক জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফখরুল বলেন,তিনি এখন জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড আজ বৈঠকে বসেছে। এখন পর্যন্ত আমরা যা জানতে পেরেছি তা হলো তার অবস্থার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি।
তিনি বলেন, যখন আমি তাকে বেশ কয়েকবার দেখতে গিয়েছি তখন আমি তাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী পেয়েছি। চিকিৎসকরা আরও বলেছেন যে তার অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি মানসিকভাবে খুব শক্তিশালী যা তাকে চিকিৎসায় সাড়া দিতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি’র সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, কেন্দ্রীয় নেতাসহ আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৪
ফখরুল বলেন,ইস্যুটিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় না নিয়ে এবং দেশ ও জনগণের প্রতি তার অবদান বিবেচনা করে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা এখানে তাকে সর্বকালের সেরা চিকিৎসা দিচ্ছেন, কিন্তু তার গুরুতর অবস্থার কারণে দেশে তার সুস্থতা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা আমাদের তিনটি দেশের নাম প্রস্তাব করেছেন। যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানি। যেখানে তার চিকিৎসা সম্ভব।
উল্লেখ্য হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার ছয় দিন পর খালেদা জিয়াকে ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: বুধবার ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়ায় সরকারের কোনো আইনি বাধা নেই বলে তারা যুক্তি দেখিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, তারা স্মারকলিপিটি বিবেচনা করে দেখবেন।