খুলনায় পুলিশের দায়ের করা নাশকতা সহিংসতার তিন মামলায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন সহ ৬৬ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ জানুয়ারী) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে খুলনার প্রতিটি থানায় পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হযরানিূলক নাশকতা সহিংসতা ও সরকার উৎখাত পরিকল্পনার অভিযোগে মামলা করে। এসব মামলায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন। আজ তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা ও লবনচরা থানার এই তিন মামলায় অন্য যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মহানগর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু, মহানগর বিএনপির সদস্য গাজী আফসারউদ্দিন, কাজী শফিকুল ইসলাম, মাসুদ খান বাদল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ, সদস্য সচিব মো. তাজিম বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দল সদর থানা আহবায়ক খায়রুজ্জামান সজীব, নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ সুমন, বিএনপি নেতা জালু মিয়া, ফারুক আহমেদ, জামাল উদ্দিন মোড়ল, শহিদ খান, নাসিম আহমেদ প্রমুখ।
শুনানীকালে আদালতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আহমেদ, গাজী আব্দুল বারী, এস আর ফারুক, মাসুদ হোসেন রনি, মোমরেজুল ইসলাম, আখতার জাহান রুকু, মশিউর রহমান নান্নু, তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষারসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আদেশ ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
তারা মিথ্যা বানোয়াট রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন ও স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: বুধবার দেশব্যাপী সমাবেশ করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো