বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস ও হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ‘সহিংস’ হামলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রদলের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে ছাত্রদলের আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগের ‘ক্যাডাররা’ হাইকোর্টে ঢুকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরও আঘাত করেছে। তারা হাইকোর্টের বিভিন্ন কক্ষে যাওয়া ছাত্রদলের কর্মীদের মারধর করে। এমনকি তারা ছাত্রীদেরও রেহাই দেয়নি।
আরও পড়ুন: আ.লীগের `দুঃশাসন’ এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের
ফখরুল জানান, শমরিতা হাসপাতালে তিনি প্রায় ৫০ জন আহত নেতা-কর্মীকে দেখেছেন। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নেতাকর্মীদের মাথায় আঘাত করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আহত ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা এখন সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। এটা ফ্যাসিবাদী শাসনের চরিত্র। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা নতুন কিছু নয় যে আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় থেকেছে এবং তারা একইভাবে তা চালিয়ে যেতে চায়। সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়ে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের এ ধরনের সন্ত্রাসের পতন ঘটবে।
এর আগে তিনি রাজধানীর মহাখালী এলাকার ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল, কাকরাইল ও আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ছাত্রদলের আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে যান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল