বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে তার নিজ উপজেলা বাবুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুশিয়ারি দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
১নং বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম. তারিকুল ইসলাম তারেককে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে এই হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইয়াবাসহ বানিয়াচঙ্গ ছাত্রলীগ সভাপতি আটক
সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সরদার খালিদ হোসেন স্বপন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি হয়ে সংগঠন বিরোধী কাজ করছেন আল নাহিয়ান খান জয়। তার চাচাতো ভাই কামরুল হাসান হিমু বিএনপির নেতা। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় তার চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা কামরুল হাসান হিমুর পক্ষে সহযোগীতা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হত্যার জন্য একের পর এক হামলার পরিকল্পনায় জয় তার চাচাতো ভাইকে সাহায্য করে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের অপসারণ দুর্নীতির প্রমাণ: বিএনপি
জয়ের বাসা থেকেই আওয়ামী লীগ নিধনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে স্বপন বলেন, ‘আপনার ঘর থেকে আওয়ামী লীগ নিধনের যে ষড়যন্ত্র চলছে সেগুলোকে আপনি প্রতিহত করুন। তা যদি আপনি না করেন তাহলে আপনার উপজেলা থেকেই কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করবো। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ষড়যন্ত্র বন্ধ না করেন তাহলে আপনাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’
এসময় তিনি সাবেক চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারেককে হত্যা প্রচেষ্টার সাথে জড়িত সকলের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবি করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
সভায় সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘জয়ের নির্দেশে তার চাচাতো ভাই বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিমুর সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। আমাকে হত্যার জন্য মজিদ সরদার ও আজহার হোসেন মনুসহ ছয়জনকে বাড়িতে পাঠিয়েছিল। কিন্তু হামলার পূর্বেই তাদের ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে থানায় সপোর্দ করলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা চেয়ারম্যান হিমুর লোক বলে স্বীকার করে।’
আরও পড়ুন: পিস্তল ও ইয়াবাসহ ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
সমাবেশে আগে বিক্ষোভ মিছিল বাবুগঞ্জ আ’লীগ কার্যালয় থেকে শুরু করে বাবুগঞ্জ থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মোঃ আক্তারুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার রাড়ি, জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের সভাপতি ইউসূফ খানসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা।