শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কচুবনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. উসমান সিকদার (৪০) উপজেলা সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া গ্ৰামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও সাবরাং ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আরওপড়ুন: পাবনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ’লীগ নেতাকে হত্যা
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, গত ২৭ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় একটি ইজিবাইক (টমটম) চুরির ঘটনার প্রতিবাদ করেন উসমান শিকদার। এ সময় উপজেলার সাবরাং নয়াপাড়া বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ওরফে খুলু মেম্বারের ছেলে মোহাম্মদ শাকের ও কাটাবনিয়ার মোহাম্মদ কাসিমের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ অতর্কিতভাবে উসমান সিকদারের উপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে আহত করেন। এ ঘটনায় উসমান সিকদার বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ’লীগের নেতাকে হত্যা
ওই ঘটনার সূত্রপাত ধরে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তার পথ গতিরোধ করে পর পর তিনটি গুলি করে তাকে হত্যা করে। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উসমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে গুলি করে যুবলীগ নেতাকে হত্যা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আয়ুব হোসেন জানান, হাসপাতালে আনার আগে উসমান শিকদার মারা গেছে। তার শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় শ্বাসরোধে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ইয়াবা ও মানব পাচারকারী দলের তালিকাভুক্ত সদস্য। তাদের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।