ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে (ডিএসএ) গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে জঘন্য কালো আইন আখ্যা দিয়ে আইনটি পরিবর্তন না করে সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে ডিএসএ পরিবর্তন করার সরকারের পদক্ষেপ জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। কারণ আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পূর্ণ বাতিলের পক্ষে।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আইনটি কোনোভাবেই বহাল থাকা উচিত নয়। কারণ এটি গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে জঘন্যতম কালো আইন।
বিএনপি নেতা বলেন, ডিএসএ প্রত্যাহার তাদের অন্যতম দাবি। যার জন্য তারা সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের মূল বক্তব্য হলো- আমরা আইনটির সম্পূর্ণ বাতিল চাই। কারণ, এটি গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি আইন। সুতরাং, এই আইন (যেকোনো রূপে) রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, সরকার মানুষকে প্রতারিত করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রূপান্তর করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকায় সরকার তাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, উটপাখি ঝড়ের মুখোমুখি হলে বালিতে মাথা লুকানোর প্রবণতা রয়েছে। সরকারের পদক্ষেপও সেরকমই। তারা মনে করে যে তারা এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে খুব স্মার্ট কাজ করছে।
আইন পরিবর্তনে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর তারা সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে তাদের দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা বলেন ফখরুল।
এর আগে সোমবার ডিএসএ-এর কিছু ধারা সংশোধন করে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপন করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তারা ডিএসএ’র ধারায় অনেক পরিবর্তন এনেছে এবং নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। ডিএসএ বাতিল করা হয়নি বরং রূপান্তরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী