নিহত আনোয়ার হোসেন (৫০) পৌর বিএনপির যুগ্ম-সাধার সম্পাদক। এসময় আনোয়ারের ছুরিকাঘাতে ছেলে রনি আহম্মেদও (২৮) আহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির জানান, কয়েক বছর আগে আনোয়ার হোসেন তার ছেলে রনিকে হিউম্যান হলার (চার চাকার যানবাহন লেগুনা) কিনে দেয়। রনি নিজেই হিউম্যান হলার চালাতো। বেশ কয়েকমাস যাবৎ রনি গাড়ির আয় ব্যয়ের কোনো টাকা তার বাবাকে দেয়নি। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
দুপুর ১২টার দিকে টাকার হিসাব নিয়ে বাড়িতে বাবা ছেলের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে রনি তার বাবার পেটে ছুরিকাঘাত করে। আহতাবস্থায় আনোয়ার হোসেন ছুরি কেড়ে নিয়ে রনিকে আঘাত করে। পরে প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার হোসেন মারা যান। ছেলে রনির অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।