বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার ‘নতুন খেলা’ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে। তারা নির্বাচনের নামে একটি খেলা খেলতে চাইছে। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী বাধা অতিক্রম করতে চায়।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণকালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে তাদের দলের নেতা ইশরাক হোসেনকে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সাজা দিতে সেল গঠন করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং করতে সরকারের ব্যর্থতার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি অর্থনৈতিক সেক্টরে দুর্নীতির বিস্তারের কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি ব্যর্থ শাসনব্যবস্থা এবং এটি দেশে মারাত্মক ক্ষতি করছে।’
‘বেগুনী’ তৈরিতে বেগুনের বিকল্প হিসেবে কুমড়া ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন,‘এই মাসে একটি শসা ও একটি বেগুন কেনার সামর্থ্য আমাদের নেই। এটা দুঃখজনক যে প্রধানমন্ত্রী কুমড়া দিয়ে ‘বেগুনি’ তৈরির নতুন রেসিপি দেয়।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা চাল, ডাল, বেগুন, শসাসহ অন্যান্য জিনিসের সাশ্রয়ী মূল্য নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করছেন। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষকে ধনী করতে গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ব্যবহার করছে সরকার।
আরও পড়ুন: নিজেদের ‘অপকর্ম’ থেকে বাঁচতে সরকার বিদেশিদের খুশি করার চেষ্টা করছে: বিএনপি
ঢাকা মহানগরীর বর্তমান ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে এখন ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। ‘এখন এত রোগী কেন? কারণ, ঢাকা শহরের প্রতিটি কলের পানি (ওয়াসা সরবরাহ করা) দূষিত। (ওয়াসার) লাইনের পানিতে খারাপ গন্ধ এবং ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এ কারণেই প্রতিদিন ১৪০০-১৫০০ ডায়রিয়ার ঘটনা শোনা হচ্ছে।’
ফখরুল ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের কথা বলেছেন। যিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একই পদে রয়েছেন। মির্জা ফখরুল তাকে সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন,তাকে অনেকবার অপসারণের চেষ্টা করা হলেও সরকার প্রধানের প্রিয় ব্যক্তি হওয়ায় তাকে অপসারণ করা যায়নি।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য ব্যক্তিদের রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার