মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত শহিদুল ইসলাম শাওনের লাশ দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০ টায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের মুরমা মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মুরমা সামাজিক কবরাস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
জানাজায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবরি রিজভীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকায় বিএনপির নায়া পল্টনস্থ কার্যালয়ে শাওনের প্রথম নামাযে জানাজা হয়। পরে সেখান থেকে শাওনের লাশবাহী গাড়ি রাত সাড়ে ৮টা ৩৫ মিনিটে তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের মুরমায় পৌঁছে। রাত ৯ টা ১০ মিনিটের দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শাওনের বাড়িতে আসেন এবং শাওনের ৮ মাস বয়সী ছেলেসহ পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, দলীয় ফোরামে আলোচনা শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি হত্যার বিচার হবে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ঢামেক হাসপাতালে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু
শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মিরকাদিমের মুরমা জামে মসজিদের ঈদগাহে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তার রাশ দাফন করা হয়।
এর আগে শুক্রবার বিকাল ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শাওনের লাশ হস্তান্তর শেষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে লাশ নিয়ে রওয়ানা হয় নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যায় ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত শাওনকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৯ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিউতে (নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শাওন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের মুরমা গ্রামের অটো চালক সোয়াব আলী ভূইয়ার ছেলে। মৃত্যুকালে পিতা-মাতা এবং স্ত্রী ছাড়াও আট মাসের একমাত্র পুত্র সন্তান রেখে যান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাওন হত্যার জবাব দেয়া হবে: ফখরুল